নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পরিবহন শ্রমিকনেতা নজরুল, গালকাঁটা আলআমিন, কাশেম, অন্তর, সাইফুল, মিজান, বাছন -দিলীপ, রাজন, জামাল, ফারুকের জুয়ার রমরমা ব্যবসা। দেখার কি কেউ নেই?
দক্ষিণ সুরমায় অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে! দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানায় অতিথে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের
নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হওয়ায় জুয়ারীরা সব ছেড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। আর এই কারনেই গোয়েন্দা পুলিশ বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর ডিবির কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা আসায় জুয়ারীরা আরো বেপরোয়া বেসামাল হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন আশ পাশে থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যেই চলে জুয়ার আস্তানা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, তরুন ও যুব সমাজ। দক্ষিণ সুরমায় একাধিক জুয়ার নিরাপদ আস্তানা গড়ে ওঠার রহস্য কি তা জানতে চায় সচেতন মহল। পুলিশ প্রশাসনের দুটি কার্যালয় আশপাশে থাকা সত্ত্বেও কি কারনে অবৈধ জুয়া খেলা আর মরণব্যাধি নেশা দ্রব্য বন্ধ করতে পারছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ।
তবে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় দলীয় কিছু প্রভাবশালী নেতাকর্মী ও স্থানীয় অসাধু পুলিশ প্রশাসনকে আঁতাত করেই তারা জুয়ার বোর্ড ও আস্তানা এবং মাদকদ্রব্য বিক্রয় সেবনসহ প্রকাশ্যে দিবালোকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসব সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার বিনিময়ে জুয়ার মালিক থেকে কামাই করছেন দৈনিক ও সাপ্তাহিক হারে মোটা অংকের টাকা । টাকার লোভেই জুয়া মাদক সহ নানা অপকর্মকে বাচিঁয়ে রাখা হয় সু কৌশলে। তার একটি প্রমান পত্র-পত্রিকায় নিউজ হলে
লোক দেখানো দু একটি অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্ত যেই লাই সেই কদু।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মুখে ও যমুনা মার্কেটের সামনে রাস্তার ওপর পার্শ্বে কুখ্যাত জুয়ারী মিতালী পরিবহন নেতার পরিচয়ে কুখ্যাত জুয়ারী ও মাদকসেবী জুয়ারীদের গডফাদার নজরুল তার সহযোগীদের নিয়ে প্রকাশ্যে শীলং তীর কাটাকাটি সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ সুরমার অপরাধ বানিজ্যের নিয়ন্ত্রন রয়েছে নজরুলের হাতে। নজরুলের আস্তানা উচ্ছেদ করে তাকে আইনের আওতায় আনা হলে দক্ষিণ সুরমা থেকে পালাবে সব অপরাধ আর অপরাধীরা। কি কারনে এসব অপরাধীদের দৌরাত্মা প্রশাসনের চোখে পড়েনা? জুয়ারী নজরুল নিজেকে মিতালী পরিবহনের শ্রমিক পরিচয়ে বীর দর্পে চালিয়ে যাচ্ছে জুয়া ও মাদকের জমজমাট নৈরাজকর অবৈধ ব্যবসা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক সূত্র জানায়, জুয়ার সাথে সাথে নজরুল ও তার বাহিনী পেন্সিলডিল ও গাঁজা বিক্রয় করে জুয়ারীদের মাতাল নেশাগ্রস্ত করে রাখে। এছাড়া নজরুলের জুয়ার আস্তানায় চুরি ছিনতাইয়ের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অনেক সময় রক্তক্ষয়ী সংগর্ষ যাহা হাসপাতাল পর্যন্ত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিক কুখ্যাত জুয়ারী ও মাদক সেবী নজরুল অত্যন্ত সুকৌশলে যমুনা মার্কেটের সামনের প্রধান সড়কের উপর মিতালী পরিবহনের সারিবাঁধা গাড়ী বহর দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে নিরাপদে জুয়ার আস্তানাকে ।
অথছ বাস মিনিবাস রাখার জন্য টার্মিনালের ভিতরে জায়গার কোনো অভাব নেই। যানবাহন চলাচলের জায়গা দখল করে অবৈধ আস্তানাকে ঢেকে রাখতে অবৈধভাবে রাখা হয় ১৫/২০ টি গাড়ী। এসব অনিয়ম কি স্থানীয় প্রশাসনের চোখে পড়েনা।
৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের আগে
দক্ষিন সুরমার শীর্ষ জুয়ারীদের জুয়ার আস্তানা ও মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের উপর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হওয়ায় অপরাধীরা ছিল বেশ গ্রেফতার আতংকের মধ্যে।
বর্তমানে জুয়ারীরা বেপরোয়া বেসামাল স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রেখেই চালিয়ে যাচ্ছে জুয়া ও মাদকের রমরমা ব্যবসা । দিব্যি এসব জুয়ার আস্তানা প্রকাশ্যে চালু থাকায় আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক বিঘ্নিত সৃষ্টি হচ্ছে। সূত্র আরোও জানায় জুয়ারীচক্র জুয়ার বোর্ড ও নিরাপদ মাদকের আস্তানা গড়ে তুলেছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমাকে প্রশাসনিক শেল্টার পাওয়ার কারনেই এই এলাকাকে বেঁচে নেয় । আর বর্তমানে ক্ষমতার বাহাদুর বল্লেও কম হবে, জুয়া ও মাদকের আস্তানা খোলে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা। যমুনা মার্কেটের সামনে পরিবহন শ্রমিক নজরুল সহ তার সহযোগীরা। বাঁশপালা মার্কেটে কাশেম, কুমিল্লা পট্টিতে অন্তর, শিববাড়ীতে সাইফুল, চাঁদনী ঘাট মাছ বাজারে লটারী মিজান এছাড়া রাজন, জামাল, বালুর মাঠে বাছন ও দিলীপ, কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডে লাকসামি ফারুকের জুয়া ও মাদকের রমরমা ব্যবসা এছাড়া কুছাই ইট ভাটার পাশে হায়দরের কলোনীতে কুখ্যাত জুয়ারী হারুন ও গালকাটা আলআমিন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না তাদের জুয়া ও মাদকের রমরমা বানিজ্য। কি কারনে এসব জুয়া ও মাদকের রমরমা বানিজ্য বন্ধ হচ্ছে না এমন প্রশ্ন লোকমুখে বেশে বেড়াচ্ছে কেউ তার উত্তর খোঁজে পাচ্ছে না। সাধারণ লোকজন তাঁরা বলছে দক্ষিণ সুরমার এসব জুয়ারী ও জুয়ার আস্তানায় মাদক সেবনসহ মালিকগন কি প্রশাসনের ঊর্ধ্বে। এসব আস্তানাকে কোনোভাবেই প্রশাসনকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে কেউ মনে করেন না। কেননা বিগত দিনে একাধিকবার স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসন পৃথক ও যৌথ অভিযানে মাদক ও জুয়ার আস্তানা ভাংচুর ও উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর পরেও কি কারনেই জুয়া ও মাদকের হাট বন্ধ করতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবসময় চায় স্থায়ী সমাধান। কোথাও জুয়া কিংবা মাদক চলবেনা। আর স্থানীয় প্রশাসন অজ্ঞাত কারনে সবসময় ভূল বুঝিয়ে আসছে পুলিশের বড় কর্তাদের। দক্ষিণ সুরমায় জুয়া ও মাদক বন্ধ না হওয়ার কারণেই
জুয়ারীরা নানা ভাবে এলাকার মধ্যে চুরি – ছিনতাই ও সংঘর্ষসহ পারিবারিক কলহের মধ্যে জড়িয়ে যাচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দক্ষিণ সুরমার এসব জুয়া ও মাদকের আস্তানায় পুলিশের অভিযান হওয়ার আগেই জুয়া ও মাদক বিক্রেতার কাছে হাওয়ায় কি ভাবে গোপন খবর পৌঁছে যায়। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়।
বিষয়টি এসএমপি সহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু- দৃষ্টি দেয়া একান্ত প্রয়োজন বলে নগরীর সাধারণ মানুষের দাবী। চলবে…।